স্পোর্টস ডেস্ক
বৃহস্পতিবার বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি কাপের প্রথম রাউন্ডে জেমকন খুলনার বিপক্ষে ২০ রানে জয় পেল বেক্সিমকো ঢাকা।
ঢাকার এই জয়ে ব্যাট হাতে অবদান রেখেছেন সাব্বির হোসের রুম্মন ও বল হাতে রবিউল ইসলাম রবি
সাব্বিরের দুর্দান্ত ফিফটিতে চ্যালেঞ্জিং স্কোরের পর বল হাতে অবদান রেখেছেন রবিউল ইসলাম রবি।
চার ওভার করে ২৩ রান দিয়ে ৩ উইকেট নিয়েছেন তিনি। এছাড়া রুবেল হোসেন ও মুক্তার হোসেন ২টি করে উইকেট নিয়েছেন।
আজ বোলিংয়ের পর ব্যাটিংয়েও ব্যর্থ হলেন বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার জেমকন খুলনার সাকিব আল হাসান।
বল হাতে এক ওভারে ২৬ রান দিয়েছেন তিনি। তার দ্বিতীয় ওভারে চারটি ছক্কা হাঁকান ঢাকার ওপেনার মোহাম্মদ নাঈম। যদিও বাকি দুই ওভারে মাত্র ১০ রান দেন সাকিব।
সবমিলিয়ে ৩ ওভারে ৩৬ রান দিলেও কোনো উইকেট পাননি সাকিব।
ব্যাট হাতেও নিজেকে মেলে ধরতে পারেননি সাকিব। ওয়ানডাউনে নেমে ৭ বল খেলে ৮ রানেই থেমে যায় সাকিবের ইনিংস।
রবিউল ইসলাম রবির বলে আউট হয়ে সাজঘরে ফেরেন।
তার আগে জেমকনের ওপেনার জাকির হোসেনও আজ কিছুই করতে পারেননি। মাত্র ১ রানে রবিউলের বলেই কট অ্যান্ড বিহাইন্ড হয়ে সাজঘরে ফেরেন।
তবে আর সবার চেয়ে ব্যতিক্রম ছিলেন খুলনার ওপেনার জহিরুল ইসলাম। ৩৬ বলে ৪ বাউন্ডারি আর ২ ছক্কার মারে ৫৩ রানের অনবদ্য এক ইনিংস খেলেন এই ওপেনার।
নাসুম আহমেদ তাকে ফেরালে জেমকন খুলনার জয় অনেকটা ফিকে হয়ে যায়।
যদিও ভালোই লড়াই চালিয়ে গেছেন অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ ও শামীম হোসেন।
২৬ বলে ২৩ রানের ইনিংস খেলেন মাহমুদউল্লাহ। অন্যদিকে মাত্র ৯ বলে ২৪ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলেন শামীম।
রুবেল হোসেন তাকে না থামালে ম্যাচভাগ্য অন্য দিকেও গড়াতে পারত।
শেষ দিকে হাসান মাহমুদের ব্যাটে আলো ছড়ালেও জয় এনে দিতে পারেননি তিনি।
শেষ ওভারে জয় পেতে খুলনার প্রয়োজন ছিল ২৫ রান। সেটি আর করতে পারেননি হাসান মাহমুদ। ১৫ রানে নটআউট থেকে যান।
তিন বল বাকি থাকতে ১৫৯ রানে অল আউট হয়ে যায় খুলনা। ফলে ২০ রানে জয় পায় ঢাকা।
এর আগে টসে জিতে ঢাকাকে ব্যাটিংয়ে আমন্ত্রণ করেন খুলনা অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ।
ব্যাট করতে দ্বিতীয় ওভারে বিশ্বসের অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসানকে তুলোধোনো করলেন ঢাকার মোহাম্মদ নাইম।
সাকিবের ৬ বলে ২৬ রান করেন মোহাম্মদ নাঈম।
এমন রানের বন্যা বইয়ে ৩৬ রান করে শহীদুল ইসলামের বলে আউট হন নাঈম। ৩ ওভার করে ৩৬ রান দিয়েছেন সাকিব। বিপরীতে কোনো উইকেট পাননি।
নাঈমের কাছে সাকিব তুলোধোনা হলেও খুলনার বোলাদের সমানে পিটিয়েছেন ঢাকার আরেক ওপেনার সাব্বির রহমান।
বেশ কয়েকটি ম্যাচ ফ্লপ থাকার পর আর জ্বলে উঠলেন জাতীয় দলের এই হার্ডহিটার।
৩৪ বলে অর্ধশতক হাঁকিয়েছেন তিনি। আজকেরও চমৎকার খেলছেন যুব দলের অধিনায়ক আকবর আলী।
মাত্র ১৩ বলে চার ছক্কা হাঁকিয়ে ৩১ রানের টর্নেডো ইনিংস খেলেছেন তিনি।
সাব্বির-আকবর ছাড়াও ২৫ বলে ৩৬ রানের চমৎকার ইনিংস খেলেছেন আল-আমিন।
নির্ধারিত ২০ ওভার শেষে ৭ উইকেটে হারিয়ে ১৭৯ রান তুলে বেক্সিমকো ঢাকা।
আজ উইকেট পেয়েছেন মাশরাফি বিন মর্তুজা। ৪ ওভার করে ২৬ রান দিয়ে ঢাকার অধিনায়ক মুশফিকুর রহীমের গুরুত্বপূর্ণ উইকেট তুলে নেন এই সাবেক টাইগার অধিনায়ক। ৪ ওভার করে ৩১ রান দিয়ে ২ উইকেট পেয়েছেন শহীদুল ইসলাম।